নারায়ণগঞ্জে আবারও আইভীর জয় - সাপ্তাহিক তুলসিগঙ্গা

Online Newspaper "The Weekly Tulsi Ganga"

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

নারায়ণগঞ্জে আবারও আইভীর জয়

নির্বাচনী প্রচারণার ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াতকে ৭৭ হাজার নয়শ’ দুই ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে মোট ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে ১,৭৪,৬০২ ভোট পেয়েছেন এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে ৯৬,৭০০ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল আটটা থেকে একযোগে ১৭৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সন্ধ্যা সাতটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে দুই কেন্দ্রের ফল জানানোর মধ্য দিয়ে ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার।
একজন মেয়রসহ ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫৬ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে জনরায় মেনে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান দুই প্রার্থী।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বাহ্যিকভাবে সুষ্ঠু হওয়ার কথা জানালেও শেষ মুহূর্তে ভোটের ফলাফলের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ হয় কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যদিও সকালে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হচ্ছে।’
এর আগে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর এই সিটির প্রথম নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পান এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। অন্যদিকে ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান। ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ভোটের মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি পান ৭ হাজার ৫০০ ভোট।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages