প্রসঙ্গঃ পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি - সাপ্তাহিক তুলসিগঙ্গা

Online Newspaper "The Weekly Tulsi Ganga"

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

প্রসঙ্গঃ পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি


জামিনে থাকা পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির ভূয়া দাবিদার গোলাম রব্বানির ষড়যন্ত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও ইউজিসি দিশেহারা!! 
বিশেষ রিপোর্ট: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঐতিহাসিক পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী বগুড়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী পালরাজাদের রাজধানী পুন্ড্রবর্ধন এর নামানুসারে বগুড়ার কিছু উদ্যোগী ব্যাক্তির সমন্বয়ে ‘পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠাকল্পে ২০০১ সালে Human Improvement Foundation প্রতিষ্ঠালাভ করে। এই HI-Foundation এর মাধ্যমেই ২০০২ সালে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি জন্মলাভ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস ছিল রংপুর রোড, গোকুল, বগুড়া’র টিএমএসএস নির্মিত একটি ভবনে। পরবর্তীতে উদ্যোগতাগণ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গোকুল থেকে শহরে টিএমএসএস মহিলা ভবন এবং কাটনারপাড়া মহাতাব হেরিটেজে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি স্থানান্তর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রক্ষিত ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (UGC)’র বিনা অনুমতিতে পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উত্তোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এর অনুমোদন বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬ সালে বাতিল হয়। পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে তৎকালীন চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট এতদবিষয়ে আপীল করে কোন ফল না পাওয়ায় এবং সকল প্রকার তদবির ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্টে ৩২৬৩/১৩ নম্বর রীট মামলা দায়ের করেন। ৪/১২/২০১৪ তারিখে উক্ত রীটের রায় হাইকোর্ট পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুকূলে প্রদান করলে তারা একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করে।
উল্লেখ্য যে রীট মামলা দায়েরের ১৫ মাস পর বগুড়া জেলার শেরপুরের হযরত আলী আকন্দের পুত্র গোলাম রব্বানি পুন্ড্র ইউনির্ভাসিটির মালিক ও ভিসির ভূয়া পরিচয়ে ‘পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি চেঞ্জড ফ্রম হাই ফাউন্ডেশন’ নামক একটি ট্রাস্টিবোর্ড গঠন করে জয়েন্টস্টক কোম্পানীতে নিবন্ধিত করে। হাইকোর্টের রায়কে তার প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টিবোর্ডের নামে চালিয়ে দেয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ১৯৯২ সংশোধিত ১৯৯৮মতে পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দাখিলকৃত প্রকল্প প্রস্তাবনা (পিপি) ২০০১ সালের হাই ফাউন্ডেশন পরবর্তীতে সংশোধিত ২০০৪ সালে হাই ফাউন্ডেশন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যায়ের আইন ২০১০ মোতাবেক গঠিত এবং জয়েন্টষ্টক কোম্পানি কর্তৃক নিবন্ধিত বোর্ড অব ট্রাষ্টি এবং হাইকোর্টে মামলা দায়েরকারি এ্যাডভোকেটের সনদপত্রের কোথাও গোলাম রব্বানিদের কোন অস্তিত্ব নেই। বা এই বৈধ প্রতিষ্ঠানের কোন একজন মেম্বার গোলাম রব্বানির সঙ্গে নেই। সেই গোলাম রব্বানীর ইংরেজি পুন্ড্র নামের বানান সংশোধন করার আইনগত ভিত্তি কি? এক কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠান অসংশ্লিষ্ট অন্য কেউ পরিবর্তন বা সংশোধন করার ক্ষমতা কিভাবে রাখেন তা বোধগম্য নয়।
মজার ব্যপার হলো এই গোলাম রব্বানি পুন্ড্র শব্দটির বানান Pundro এবং Pundra বিভ্রান্তি দেখিয়ে চোখ ধাঁধানো সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার বলে প্রচার করে এবং শেরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ভর্তির জন্য অফিস খুলে বেআইনীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে থাকে। সেই সাথে প্রচার করে ডিগ্রীর সনদ পেতে হলে এখানে ভর্তি হলেই চলবে। অর্থাৎ একবার এসে ভর্তি হবেন আরেকবার এসে সনদপত্র নিয়ে যাবেন। অবৈধ ভর্তি বাণিজ্যে সে নিজেকে সঁপে দেয়। উল্লেখ্য যে একইভাবে শেরপুরে ২০০৭ সালে দারুল এহসান ইউনিভার্সিটি, শান্তা মরিয়ম বিএড কলেজ, দি ক্রিয়েটিভ মডেল একাডেমী নামক অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভূঁয়া সার্টিফিকেট বিক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছে এই গোলাম রব্বানী। অতঃপর গোলাম রব্বানির বিরুদ্ধে প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের হলে সে গ্রেপ্তার হয়।
এই গোলাম রব্বানি দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়া সনদ বিক্রয়ের দোকান খুলে লক্ষ লক্ষ যুবকের নিকট থেকে উচ্চশিক্ষার সনদ বাণিজ্য করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাক্রমে ৩৭.০০.০০০০.০৭১.৩১.০০৪.১৪-৮৫(২)/৩ এবং ৪৪.০০.০০০০.০৭৫.০৫.০০৭.১৩.৩২২ নং পত্র জারী করে তা বন্ধ করেছে।
ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং তারিখের শিম/শাঃ১৭/৮বেঃ বিঃ-৮/২০০১/৫২৩ নং স্মারকমূলে গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালের আদেশ বাতিল পূর্বক পুন্ড্র ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, রংপুর রোড, গোকুল, বগুড়া-কে শিক্ষা কার্যক্রম পুণরায় শুরু করার অনুমতি প্রদান করেন। প্রেক্ষিতে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ট্রাস্টিবোর্ড ইউনিভার্সিটি পূর্ণউদ্যমে চালুর জন্য ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি বিল্ডিং এর সম্প্রসারন কাজ শুরু হয় এবং ১৬ জনুয়ারি/১৬ইং তারিখে ইউনিভার্সিটি ক্যামপাসে ব্যাপক উদ্দীপনার মাধ্যমে ২০১৬ সালে স্প্রিং সিজনে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের orientation অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনশ’র অধিক ছাত্রছাত্রী পড়ালেখায় নিয়জিত আছে। বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীদের সাথে আলোচনায় জানা গেল অত্যন্ত সুষ্টু, সুন্দর, আদর্শিক ও সুশৃংখলভাবে এখানে লেখাপড়া চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তাদেরকে অভিভুত করেছে। Orientation কালে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ট্রাস্টিবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম সংবাদিকদের জ্ঞাত করেন যে অতিস্বত্বর বর্তমান ক্যামপাসের অদুরে ১২৭ বিঘা জমিতে আধুনিক শৈলীতে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির নতুন ক্যামপাস ভবন নির্মাণ শুরু হবে।
মূল পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিজস্ব অবকাঠামো লোকবল, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, ল্যবরেটরি, এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে টিএমএসএস এর আর দশটা প্রতিষ্টান যেমন মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, টেক্সটাইল কলেজ ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত। এই রিপোর্টার সুযোগ পেলেই পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ক্যামপাসের উন্নয়ন দেখতে যাই। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ইং তারিখে ক্যামপাসে গিয়ে জানলাম দু’দিন আগে শিক্ষামন্ত্রণালয় গঠিত একটি তদন্ত টিম পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত জটিলাতার বিষয়ে তদন্ত করতে এসেছিলেন। তদন্ত টিমের প্রধান ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মিজান উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিচালক UGC মোঃ মোখলেছুর রহমান, এডিসি (শিক্ষা ও উন্নয়ন) বগুড়া সুফিয়া নাজিম ও UGC র সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক। অনুসন্ধানে জানা গেল পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক ভাইস চেন্সেলর প্রফেসর লুতফর রহমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই মর্মে অভিযোগ করেছিলেন যে, ‘টিএমএসএস এনজিও-র নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেনে আরা বেগম ২০১১ সালে তার নতুন টিএমএসএস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন করে সরকার থেকে অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রভাবিত করে তার নিজের এনজিও অফিস ঠেঙ্গামারা, রংপুর রোড, গোকুল, বগুড়া ঠিকানায় গত ৩০/০৯/২০১৫ তারিখে পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু করার অনুমোদন পত্র কৌশলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে যায়। ইহা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি জঘন্যতম জালিয়াতির দৃশ্য।’
pundro1
আরো জানা গেল যে, তদন্ত টিম তদন্তকালে ত্রিপক্ষীয় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যেমে তদন্ত করেছেন। একপক্ষে ছিল তথাকথিত পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির ভূয়া ‘মালিক’ কাম ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ জালিয়াতি মামলার আসামি গোলাম রব্বানি, অন্যপক্ষে ছিলেন পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্যবৃন্দ। উভয় পক্ষের সামনে ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তাবৃন্দ। অভিযোগ বিষয়ে প্রফেসর লুতফর রহমানকে টেলিফোনে যোগযোগ করলে তিনি পরিষ্কার জানান ‘আমি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে এরূপ কোন অভিযোগই করিনি যা লিখিত ভাবে মন্ত্রণালয়ে জ্ঞাত করেছি’। তিনি আরো জানান ‘কথিত তদন্তে তাকে উপস্থিত হতে বলা হয়নি’। গোলাম রব্বানি কিসের ভিত্তিতে অভিযোগকারী না হয়েও তদন্তে উপস্থিত থেকে তার নিজের পক্ষে সাফাই গাইলেন এবং তদন্ত কর্তৃপক্ষ তাকে তদন্তে উপস্থিত করে পুন্ড্র ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির প্রকৃত ট্রাস্টিবোর্ডের মূখোমূখি দাড় করালেন, তা বোধগম্য নয়। আমাদের জানামতে UGC একাধিকবার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তদন্ত করেছেন এবং তাদের তদন্তে সন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় ২য় বার রংপুর রোড, গোকুলে অবস্থিত পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুমোদন দিয়েছেন। তাহলে কেন Vague অভিযোগের উপর জালিয়াত গোলাম রব্বানিকে সামনে রেখে তদন্ত অনুষ্ঠান করা হলো তা বগুড়ার জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
pundr2
গোলাম রব্বানি বগুড়া শেরপুরে ছোট্ট একটা ৭০০ বর্গফুটের তিনতলাবিশিষ্ট বাড়ীর দোতালায় ছোট্ট ৩টি কক্ষে তথাকথিত পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি চালু রেখেছেন যা UGC কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে পরিদর্শন করে অসনতুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন বলে আমরা জ্ঞাত আছি। তারপরও সেই ‘ইউনিভার্সিটি’র তথাকথিত ‘মালিককে’ মূল ইউনিভার্সিটির মূখোমূখি দাঁড় করানো জনগন স্বাভাবিক দৃষ্টিতে গ্রহণ করছেন না।
ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয় নিয়োজিত তদন্ত কমিটির আগমনে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ট্রাষ্টিবোর্ড ও জনমনে শংকার সৃষ্টি হয়েছে এই ভেবে যে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি বুঝি বন্ধ হয়ে গেল। অত্যন্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান দক্ষশিক্ষাবিদদের নিয়ে যখন শিক্ষাকার্যক্রম চালু করেছেন সেইমুহুর্তে এই ধরনের তদন্ত সবার মনে হতাশার সৃষ্টি করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা UGC অবশই পরিদর্শন করবেন, শিক্ষা সংক্রান্ত গাইড লাইন দেবেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষকে উপদেশ দেবেন এটা সকলেই কামনা করে। কিন্তু একজন সার্টিফিকেট বিক্রয়কারী জালিয়াতকে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির মূখোমূখি দাঁড় করাবেন, এটা সকলের কাছে প্রশ্নের উদ্রেক করে।
বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ১০০% শিক্ষিত করার প্রত্যয় নিয়ে সরকাররের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগকে উৎসাহিত করছেন তাঁকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আর তাইতো শিক্ষা কার্যক্রমে টিএমএসএস এর ভূমিকা সারাদেশের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে। বর্তমানে টিএমএসএস শুধু ইউনিভার্সিটি নয়, মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ট্রেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ম্যাটস, প্যারামেডিক ইন্স্টিটিউট, পলিটেকনিক ইন্স্টিটিউট, পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজসহ ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। নির্মাণাধীন ১৮ তলা বিশিষ্ট একহাজার বেডের আধুনিক স্থাপত্যসম্বলিত হাসপাতাল শুধু বগুড়া নয় সমগ্রদেশের রোগীদের জন্য আশার আলো বয়ে আনছে। মেডিক্যাল কলেজের ফলাফল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, শিক্ষা প্রসারের স্বার্থে ভূয়া জালিয়াতদের শিক্ষা ব্যবসা কঠোরহস্তে দমন করুন এবং প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এদের যারা সহযোগীতা করে তাদের শাস্তির আওতায় আনুন।
 -নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ কণিকা

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages