বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর ককটেল ফাটিয়ে জুয়েলার্সে ডাকাতির ৪২০ ভরি সোনা উদ্ধারঃ সদর থানায় মামলা দায়ের - সাপ্তাহিক তুলসিগঙ্গা

Online Newspaper "The Weekly Tulsi Ganga"

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর ককটেল ফাটিয়ে জুয়েলার্সে ডাকাতির ৪২০ ভরি সোনা উদ্ধারঃ সদর থানায় মামলা দায়ের


গোলাম রব্বানী শিপন, (বগুড়া):
বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর ককটেল ফাটিয়ে জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় উদ্ধারকৃত মালামাল পরিমাপ করা হয়েছে। দোকান মালিকের হিসাব অনুযায়ী ৫শ ভরি সোনা ডাকাতি হলেও উদ্ধার হয়েছে ৪শ ২০ ভরি। দুর্ধর্ষ ডাকাতির এ ঘটনায় জুয়েলার্স মালিক নিজে বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় ৭/৮ জন অভিযুক্ত করে দোকান মালিক গোলজার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত হয়েছে। (ওসি) আরোও জানান, আমাদের ধারণা ডাকাতি করা স্বর্ণের সবগুলোই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। কিন্তু জুয়েলার্স মালিক বলছে, আরোও কিছু বাকী রয়েছে। তবে, অন্যান্য ডাকাত সদস্যের গ্রেফতারের পর হিসাব মিলানো সম্ভব হবে। এমদাদ হোসেন জানান, গুলিতে আহত ডাকাত সদস্য ও জুয়েলার্স মালিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার্ধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য,গত শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় শহরের ব্যস্ততম এলাকায় সাতমাথা থেকে মাত্র ৫শত গজ দুরে মেরিনা রোড়ে আল হাসান জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে ওই জুয়েলার্সে নগদ ৫লাখ টাকাসহ ৫শত ভরি স্বর্ণাংলকার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় গুলিবিদ্ধ হয় জুয়েলার্স মালিক গোলজার হোসেন। এছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণে ২ পথচারী আনোয়ার হোসেন(৫০) ও জাকির হোসেন(৪০) আহত হয়। শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা থেকে অল্প দুরে নিউ মার্কেটের পাশে মেরিনা রোড়ে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে মুখোশধারী ডাকাতরা প্রথমে হাত বোমা বিস্ফোরণ করে চারিদিকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে জুয়েলার্স মালিককে গুলি করে জুয়েলার্সের মালামাল লুট করে। এসময় পাশের কেয়া জুয়েলার্স, অঙ্গসাজ জুয়েলার্স, মনিপুরী জুয়েলার্স এবং প্রাইড টাঙ্গাইল শো রুমে ককটেল বিস্ফোরণ করে। দোকানে মালামাল লুট করার পর তারা একটি হাইস মাইক্রোবাস নিয়ে গালাপট্টি হয়ে দ্রুত চেলোপাড়ার দিকে চলে যায়। ঘটনার সময় আশেপাশে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে সবাই দোকান বন্ধ করে এবং পথচারীরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণে রাস্তায় দোকানে কাচ ভাঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages