প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। বীজ, সার ও কীটনাশক ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলাতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আলু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহসহ বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে বর্তমান আলুর বাজারে আলুর চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে আলুর বাজারে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন স্থানীয় চাষিরা।
কালাই উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে ও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ৫টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত আলু চাষ হয়েছে। যা অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১২৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গ্রানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল ও রোজেটা জাতের আলু চাষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আলু ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এখানকার আলু মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। আর উপজেলাতে ৩০ থেকে ৩৫টি স্থানে প্রতিদিন প্রায় ২৫শ থেকে ৩ হাজার মণ বিভিন্ন জাতের আলু দেশের বিভিন্ন জেলার এবং বিভিন্ন দেশে পাঠানোর জন্য আলু ব্যবসায়ীরা আলু কিনছে।
উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আলু চাষি আ. রাজ্জাক জানান, এবারে তিনি ৮০ শতক জমিতে মিউজিকা জাতের আলু চাষ করেছেন। সবমিলে তার উত্পাদনের খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। প্রতি শতকে ৩ মণ হারে মোট আলু পেয়েছেন ২৪০ মণ । বিদেশি এক কোম্পানির এজেন্ট এর কাছে তিনি ৩০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে বর্তমান লাভ টিকেছে প্রায় ৫২ হাজার টাকা।
উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আলু চাষি আ. রাজ্জাক জানান, এবারে তিনি ৮০ শতক জমিতে মিউজিকা জাতের আলু চাষ করেছেন। সবমিলে তার উত্পাদনের খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। প্রতি শতকে ৩ মণ হারে মোট আলু পেয়েছেন ২৪০ মণ । বিদেশি এক কোম্পানির এজেন্ট এর কাছে তিনি ৩০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে বর্তমান লাভ টিকেছে প্রায় ৫২ হাজার টাকা।
কালাই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামে মালেশিয়ার মাসায়া কোম্পানির আলু কেনার এজেন্ট গোলাম মোস্তফা জানান, মালেশিয়ার মাসায়া কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন তাকে ৩০০ মণ বিভিন্ন জাতের আলু কিনতে হয়। এভাবে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সেই পরিমাণ আলু তাকে কিনতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এবারের বীজ, সার ও কীটনাশক ওষুধ সরবরাহসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলাতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।