নিউজ ডেস্ক: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বুধবার ইউনেস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠকে ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিয়েবল কালচারারল হেরিটেজ অফ হিউমিনিটির তালিকায় বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।ববিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলা বছরের প্রথম দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৯ সালে সামরিক শাসনে হতাশ ছাত্রসমাজ একটি উন্নত ভবিষ্যতের চিন্তায় বাংলাদেশের মানুষকে এক স্থানে জমায়েত করতে চেয়েছিল। সেই থেকে শুরু ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র। এক মাস আগে থেকেই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ আয়োজনের কাজ শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় মুখোশ তৈরির কাজ। বলা হয়, এর মাধ্যমে অপশক্তি দূরে থাকবে এবং উন্নত ভবিষ্যৎ পাওয়া যাবে। পুরো উৎসবে এমন সব বৃহৎ প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় যেগুলোর মধ্যে অন্তত একটি অপশক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। এ ছাড়া একটি প্রতিনিধিত্ব করে সাহস ও শক্তিকে এবং আরেকটি করে শান্তিকে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যয় বহনের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যের আঁকা ছবি বিক্রি করা হয়। এই শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মানুষের লোক-সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে অপশক্তির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করার ক্ষমতা এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার সাহসকেও প্রকাশ করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা সাংস্কৃতি ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার ফসল। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ও ঐক্যবদ্ধ সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে নতুনভাবে ধরা পড়বে।