৭১ বছরে পা রাখলেন ছটকু আহমেদ - সাপ্তাহিক তুলসিগঙ্গা

Online Newspaper "The Weekly Tulsi Ganga"

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

৭১ বছরে পা রাখলেন ছটকু আহমেদ

তানজিলা সুমি: ছটকু আহমেদ দেশের একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। বিক্রমপুর পরগনায় মুন্সীগঞ্জ জেলার পানহাটা গ্রামে ১৯৪৬ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলাসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর স্কুল জীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও নারায়নগঞ্জে। তিনি ইরিগেশান মিনিস্ট্রির সাব অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার কাম সেকশান অফিসার হিসাবে  খুব স্বল্প সময়ের জন্যে সরকারি চাকরি করেন।
---
ছটকু আহমেদ ১৯৬২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নামে প্রথম নাটক পরিচালনা করেন । ১৯৬৬ সালে ধারাবাহিক নাটক ‘অমর জীবন’ রচনা করেছেন ও জয় রচিত ও ফাল্গুনী হামিদ প্রযোজিত ‘দিঠি’ নাটক পরিচালনা করেছেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই স্বর্গীয় ঋত্বিক কুমার ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে তার চলচ্চিত্র আগমন। ছটকু আহমেদ তিন শতাধিক মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন।

যার মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ছবিগুলো হচ্ছে সত্য মিথ্যা, বাংলার বধু, লালু মাস্তান, পিতা মাতা সস্তান, ঘাতক ও চেতনা। তিনি রচনা করেছেন  কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘অবুঝ সন্তান’, নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত ‘প্রেম শক্তি’, মোতালেব হোসেন পরিচালিত ‘হিংসা’ ও ‘মিথ্যা অহংকার’, শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘জজ সাহেব’, মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘স্বামী কেন আসামী’ ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘শান্তি চাই’ ইত্যাদি ছবিগুলো।
---
ছটকু আহমেদ এ পর্যন্ত ১৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে নাত বৌ (১৯৮২), রাজদন্ড (১৯৮৪), গৃহবিবাদ (১৯৮৬), অত্যাচার (১৯৮৭), চেতনা (১৯৯০), মায়া মমতা (১৯৯৪), সত্যের মৃত্যু নেই (১৯৯৬), কলকাতা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত  বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭), মিথ্যার মৃত্যু (১৯৯৮), বুক ভরা ভালোবাসা (১৯৯৯), বর্ষা বাদল (২০০০), শেষ যুদ্ধ (২০০২), ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় ছবি মহা তান্ডব (২০০২), চ্যনেল আই প্রযোজিত আজকের রূপবান (২০০৫), প্রতিবাদী মাস্টার (২০০৫) উল্লেখযোগ্য।

ছটকু আহমেদের ৪টি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করেছেন। সেগুলো হলো আমার সংসার, ঘোড়ার ডিম, মুক্তিযুদ্ধ ও জীবন, জন্মজয়ন্তী। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বাচসাস তিনটি পুরস্কার (১৯৮৬), চলচ্চিত্র দর্শক ফোরাম পুরস্কার (১৯৮৮), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৯), নাট্যসভা (১৯৯০), শহীদ মতিউর রহমান পুরস্কার (১৯৯৭), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি পুরস্কার (১৯৯৯), লিজা একাডেমী পুরস্কার (২০০৩), কালচারাল রিপোটার্স মিলিনিয়াম এওয়ার্ড (২০০৪), সালমান শাহ স্মৃতি পরিষদ সম্মমনা পুরস্কার ( ২০০৯)।
---
বর্তমানে তিনি মনামী ক্রিয়েশান প্রযোজিত “দলিল” এবং জ্যোতি চলচ্চিত্র প্রযোজিত “তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ” পরিচালনা করছেন। এছাড়া সোহানুর রহমান সোহানের ৪টি ছবি ‘জেদী’, ‘ওয়াও বেবী ওয়াও’, ‘লাভার বয়’, ‘আমার বাংলাদেশ’ এবং এফ আই মানিকের তিনটি ছবি ‘রকস্টার আসছে’ ‘জনপ্রিয়তা’, ‘নো চিন্তা ডু স্ফুর্তি’, ইস্পাহানী আরিফ জাহানের ‘মিশন মাদ্রিদ আমি শুধু তোমাকে চাই’ বুলবুল বিশ্বাসের ‘রাজনীতি’ ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখছেন।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages