জয়পুরহাট (কালাই) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের
কালাইয়ে মাত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে তার নিজ শয়ন কক্ষে ধর্ষণ সাধন
হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বানদিঘি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে শনিবার সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর
রাতে উপজেলার বানদিঘী গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ীর প্রাচীর টপকিয়ে প্রথমে তার বাবা-মার
শয়ন ঘরের দরজায় শেকল তুলে দেয়। এরপর ধর্ষকরা সুকৌশলে ছাত্রীর শয়ন ঘরে ঢুকে তাকে জোড়পূর্বক
ধর্ষণ করে। পরে তাকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে
বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভোর রাতে ধর্ষিতার মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া
দিতে ঘর থেকে বের হবার সময় দেখতে পান বাহির থেকে দরজা আটকানো রয়েছে। এ সময় ঘরে থাকা
ওই ধর্ষিতার বাবা-মার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দরজা খুলে দেন। এ সময়
প্রতিবেশিরা তাদের মেয়েকে পাশের ঘর থেকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার
জন্য গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত
চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর সাধন হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে ধষর্কদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু
বিচারের দাবীতে মাত্রাই-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে
আসেন জয়পুরহাটের এএসপি (সার্কেল) অশোক কুমার পাল ও কালাই থানার কাজের ব্যাপারে প্রধান
ব্যক্তি ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ধষর্কদের গ্রেফতার
ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার চাচা আবদুল বাকিল বাদী হয়ে কালাই থানায়
একটি মামলা দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে তিনটা) পুলিশ কাউকে গ্রেফতার
করতে পারেনি।
কালাই থানার কাজের ব্যাপারে প্রধান ব্যক্তি ইনচার্জ নুরুজ্জামান
চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দোষী যেই হোক দ্রুত তাদের গ্রেফতার সাধন হবে।