মাহফুজ
রহমান (বগুড়া)ঃ
গতকাল
১৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বগুড়া শহরের প্রান কেন্দ্রে আল হাসান জুয়েলার্স নামের
একটি স্বর্নের দোকানে সিনেমা ষ্টাইলে ভয়াবহ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে । স্বরনকালের এই
ডাকাতির ঘটনায় গুলি ছুঁড়ে মূহ মূহ বোমা ফাটিয়ে লুটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শত শত ভরির
স্বর্নালংকার এবং নগদ অর্থ । ডাকাতের গুলিতে দোকান মালিক সহ ককটেলের আঘাতে আহত
হয়েছেন কমপক্ষে ৪জন।
জানা গেছে ,শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক পোনে ৭টার দিকে বগুড়ার শহরের ব্যস্ততম এলাকা নিউ মার্কেট এলাকার আল হাসান জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্নের দোকানে চড়াও হয় সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দলের ৮/৯জন সশস্ত্র সদস্য । একটি সাদা রংয়ের হাইচ মাইক্রোবাসে আসা মুখোশধারী ডাকাতরা দোকানের সামনে মাইক্রো থামিয়ে আকস্মিক ভাবে দোকানে ঢুকে পড়ে । কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা সিনেমা কায়দায় অস্ত্র উঁচিয়ে দোকানে থাকা মালিক কর্মচারীদের জিম্মি করে স্বর্নালংকার লুটে নিতে থাকে । এসময় দোকান মালিক চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা তার পায়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে । তিনি গুলি বৃদ্ধ হলে ডাকাতদের কয়েকজন আশপাশে গুলি ছুড়ে ও বোমা ফাটিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এলাকায় ভীতির সঞ্চার করে । বোমার শব্ধের ভয়াবহতায় এসময় আতংকিত লোকজন ছুটে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে থাকে ।এক নিমিষে বন্ধ হয়ে যায় আশ পাশের দোকান পাট ,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ।এসময় শক্তিশালী বোমার আঘাতে উড়ে যায় রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা ১টি মোটর সাইকেল ।
সঙ্গবদ্ধ ডাকাতরা এসময় গোটা জুয়েলার্স লুট করে সিনেমা ষ্টাইলে গুলি ছুঁড়ে ও প্রায় ৩০টির মত বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় ।এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন ঘটনার সময় আশ পাশে পুলিশ থাকলে তারা কেউ এগিয়ে আসেননি। তারা আরো জানান , ঘটনায় প্রায় ৩০মিঃ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই সংগে আনা মাইক্রোবাসে করে নির্বিঘেœ তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ডাকাতরা ।
এদিকে ঠিক কত ভরি স্বন্র্ালংকার এবং নগদ টাকা লুট হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি। দোকান মালিক গুলজার আহম্মেদ , দোকান কর্মচারী, পথচারী সহ কমপক্ষে ৪জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিক শেষ খবর পর্যন্ত ঘটনার প্রায় পোনে এক ঘন্টা পর বগুড়া থেকে ১০ কিঃ মি দুরে বগুড়া- ঢাকা মহাসড়কের ৯মাইল নামকস্থানে একটি মাইক্রোবাস আরোহীদের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে, এসময় পুলিশের গুলিতে আহত আলমগীর হোসেন(৪০)নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার কথা জানিয়েছে পুলিশ । আটক আলমগীর পাবনা আতাইকোলা উপজেলার কাজীপুর গ্রামের টুকু লস্করের পুত্র বলে পুলিশ জানায় ।তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জেলা পুলিশ সদরের এএসপি আনোয়ার হোসেন ডাকতি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আটকের দাবী করে বলেন, ডাকাতি ঘটনার পর পালিয়ে যাবার সময় পুলিশের একটি টহলগাড়ী পেছন থেকে ওই মাইক্রোটিকে ধাওয়া করছিল । এ সময় ওই মাইক্রো থেকে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি বর্ষন ও বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয় । পরে উল্লেখিত স্থানে স্থানীয় জনতা ও অপর একটি পুলিশ দল রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোর গতীরোধের চেষ্টা করে । এসময় ডাকাতরা তাদের মাইক্রো ফেলে পালিয়ে যাবার সময় আলমগীর পুলিশের গুলিতে আহত অবস্থায়আটক হয় ।এ সময় উদ্ধার হয় লুন্ঠিত আংশিক স্বর্নালংকার-এবং বিপুল সংখ্যক ককটে ডাকাতদের অস্ত্রসশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।