জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
ভূয়া ভোটার আইডি ও অন্যের নামের রেজিষ্ট্রেশনকৃত (নিবন্ধিত) সিমের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কানাডা প্রবাসীর ৩লাখ ২০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় জয়পুরহাটে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ হোসেন (২৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে পুলিশের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জয়টপুর সদর থানা পুলিশ গত বুধবার জয়পুরহাট থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার গ্রামের বাড়ি জেলার আক্কেলপুর পৌর সদরের টিএন্ড পাড়ায়।
মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস পূর্বে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতার ছবি ব্যবহার করে র্মীজা আব্বাছ নামে একটি ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে রাহিদের যোগাযোগ হয় কানাডা প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের সাথে। রাহিদ তার সাথে ফেসবুক বন্ধুত্ব করে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ মীর্জা আব্বাসকে তার দলের নেতা মনে করে রাহিদের ওই ভূয়া আইডিতে অসহায় মানুষকে সহযোগীতা করার জন্য তিন কিস্তিতে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। রাহিদ ওই টাকা গত ১৭ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখা থেকে এক লাখ টাকা তুলে নেন। পরবর্তীতে জানুয়ারি মাসের ১৯ ও ২২ এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে অগ্রণী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখা থেকে দুই লাখ ২০ হাজার সহ মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
বিষয়টি ওই কানাডা প্রবাসীর সন্দেহ হলে তার দেশের কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নিউ টাউনের বাসিন্দা চাচাতো ভাই কামরুল হাসানকে অবহিত করেন। পরবর্তাতে কামরুল হাসান বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রতারক রাহিদের ঠিকানা খুঁজে বের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কামরুল হাসান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রাহিদকে আসামী করে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ রাহিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিক অবস্থায় রাহিদ পুলিশের কাছে সবকিছু স্বীকার করে। আজ বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এর আদালতে রাহিদ হোসেন স্বেচ্ছায় নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
জয়পুরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, এই মামলার ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন সময়ে এ রকম প্রতারণার মাধ্যমে আরো ৭০ লাখ টাকা রাহিদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সোলায়মান আলী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, রাহিদ হোসেন জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।