আজও আমি শহুরে হতে পারি নি
তাই বন্ধুরা আমাকে ‘ক্ষ্যাত’ বলে ডাকে!
শহরের রঙ জৌলুসে ভরা জীবন কখনও আমায় টানে নি।
আমি গ্রামের ছেলে
গ্রামকে ঘিরেই আমার ভালবাসা আবর্তিত!
গাঁয়ের সবুজ শ্যামল রূপ আমার মনে আঁকা।
গাঁয়ের মেঠোপথ
শান বাঁধানো ঘাট
আর জল ছলছল বিল বাওড়ের ছবিটা-
আমার হৃদয়কে অন্যরকম এক আবেগে ভাসায়!
এখনও আমার মন পড়ে থাকে গাঁয়ের ধারের ওই বটগাছটার কাছে
যেখানে ক্লান্ত কৃষক বটের ছায়ায় শরীর জুড়ায়!
গাঁয়ের মেঠোপথ
বাউলের একতারা
মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালী সুরে আনচান করে মন।
ঘুঘু ডাকা ক্লান্ত দুপুর-
ঘুঘু ডাকা ক্লান্ত দুপুর-
রাখালীয়া বাঁশীর সুর
কিংবা সোডিয়ামের আলোহীন চাঁদনী রাত আমাকে বিমোহিত করে!
মেঘমুক্ত রাতের আকাশ
তারাদের সাথে মিতালী-
এই শহর আমায় দিতে পারেনি।
আমার এই দেহটা শহুরে খাঁচায় বন্দী থাকলেও
মনটা মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়ে বেড়ায় গাংনাই আর করতোয়া’র পাড়ে।
আমি বারবার ফিরে যাই হারানো সেই কিশোরবেলায়!
আমার মন থাকে না এই শহরে!
আমি ফিরে যেতে চাই আমার গাঁয়
কিন্তু ফেরা হয় না;
একদিন আমি ঠিকই ফিরব গাঁয়ে!
যখন এই শহরে আমার প্রযোজন ফুরিয়ে যাবে!
মেঘমুক্ত রাতের আকাশ
তারাদের সাথে মিতালী-
এই শহর আমায় দিতে পারেনি।
আমার এই দেহটা শহুরে খাঁচায় বন্দী থাকলেও
মনটা মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়ে বেড়ায় গাংনাই আর করতোয়া’র পাড়ে।
আমি বারবার ফিরে যাই হারানো সেই কিশোরবেলায়!
আমার মন থাকে না এই শহরে!
আমি ফিরে যেতে চাই আমার গাঁয়
কিন্তু ফেরা হয় না;
একদিন আমি ঠিকই ফিরব গাঁয়ে!
যখন এই শহরে আমার প্রযোজন ফুরিয়ে যাবে!