“মানুষ ভজলে সোনার মানুষ
হবি” এই স্লোগানকে সামনে
নিয়ে বগুড়ায় লালন একাডেমি পদযাত্রা শুরু।
বগুড়া-কাহালু সড়কের শহরদীঘি
এলাকার এক লালনভক্ত নিজের
শেষ সম্বল পৈতৃক ভিটায়
প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি পাঠশালা।
১৬ শতক জমির ওপর
গড়ে ওঠা ‘বগুড়া লালন
স্কুল’ নামে এই প্রাথমিক
বিদ্যালয়টি এলাকার গরিব পরিবারের
সন্তানদের মাঝে শিক্ষার আলো
ছড়িয়ে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে
নিজ
বাড়িতে
প্রথম
গড়ে
তোলেন
লালন
একাডেমি। প্রতি
বছর
এখানে
হয়
লালন
মেলা।
উৎসব
চলে
পাঁচ
দিনব্যাপী। পরের
বছরই
প্রতিষ্ঠা করেন
লালন
স্কুল।
শিশু
থেকে
পঞ্চম
শ্রেণী
পর্যন্ত পাঠদান
করা
বিদ্যালয়টি তিনজন
শিক্ষার্থী নিয়ে
যাত্রা
শুরু
হয়।
এখন
পাঁচ
ক্লাস
মিলে
শিক্ষার্থীর সংখ্যা
প্রায় ৫০০।এখানকার সব
শিক্ষার্থীই সমাজের
সুবিধাবঞ্চিত ও
গরিব
ঘরের।
বিদ্যালয়টিতে পাঁচটি
শ্রেণীকক্ষ ছাড়াও
আছে
একটি
অফিস
ও
একটি
সঙ্গীতচর্চা কক্ষ। প্রতি
শুক্রবার হয়
লালন
সঙ্গীতের ক্লাস। প্রতি বছর জানুয়ারিতে পাঁচ
দিনব্যাপী লালন
উৎসব
হয়।
বগুড়ায়
লালন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইকবাল হোসেন (বল) বলেন,
“এই
পাঠশালায় শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক পাঠদানে সীমাবদ্ধ নেই;
সবাইকে
বাধ্যতামূলক লালন
সঙ্গীতেরও চর্চা
করতে
হয়।
ধারণ
করতে
হয়
লালনের
মানবধর্ম।”
প্রতিষ্ঠানটি
বগুড়া লালন একাডেমি অল্প দিনেই বেশ
এগিয়ে গেছে দাবি করে
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আরও বলেন,
২০১১ সালে ভারতীয় হাইকমিশনার
রাজীব মিত্রসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
এসে লালন একাডেমির কর্মকাণ্ড
পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা
একাডেমির প্রশংসাও করেন।