বানর নিয়ে কিছু অদ্ভুত তথ্য - সাপ্তাহিক তুলসিগঙ্গা

Online Newspaper "The Weekly Tulsi Ganga"

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বানর নিয়ে কিছু অদ্ভুত তথ্য



নিজস্ব প্রতিবেদন:
বানর থেকে মানুষ এসেছে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে- সেদিকে না যাওয়াই ভালো। কিন্তু বানর প্রজাতির প্রাণীদের সাথে যে মানুষের বিভিন্ন দিকে মিল রয়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

গরিলা, শিম্পাঞ্জী, বনমানুষ, ওরাংওটাং এসব প্রাণীগুলোর অনেক অদ্ভুত ব্যাপার রয়েছে যেগুলো হয়তো আপনি জানেন না। এসব জেনে আপনি আশ্চর্য হবেন এবং মজা পাবেন। এমন কিছু ব্যাপারই এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।

একই রকম রক্তের গ্রুপ: মানুষ এবং বানর প্রজাতির প্রাণীদের রক্তের গ্রুপ একই। বানরদেরও এ, বি, এবি এবং ও গ্রুপের রক্ত রয়েছে। সেইসাথে পজেটিভ-নেগেটিভ গ্রুপও রয়েছে। অনেকের মনে হতে পারে তাহলে তো আমাদের দেহে বানরের রক্ত দেয়া যেতে পারে বা বিপরীতটাও করা যেতে পারে। কিন্তু গ্রুপ এক হলেও ভিন্ন আরও অনেক বৈশিষ্ট্যের কারণে এটা সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও ব্যাপারটি নিয়ে গবেষণা চলছে।

বানরেরও সর্দি লাগে: বনবস (ছোট আকারের বা পিগমি শিম্পাঞ্জী) প্রজাতির বানরের সাধারণ সর্দি কাশি হয়। অন্য বানরের মধ্যেও টা মাঝে মাঝে দেখা যায়। এমনকি মানুষের কাছ থেকে এরা সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হতে পারে।

বানর প্রজাতি কথা বলতে পারে না: মানুষের সাথে অনেক মিল থাকার পরও বানরেরা কেন কথা বলতে পারে না সেটা একটা প্রশ্ন। আসলে এই জাতীয় প্রাণীদের স্বরনালী আর কণ্ঠতালুর মধ্যে ফাঁকা স্থান না থাকায় এরা কথা বলতে পারে না।

যোগাযোগ করা সম্ভব: কথা বলতে না পারলেও সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে গরিলা, শিম্পাঞ্জী এদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। এরা মানুষের সংকেত বুঝতে পারে এবং নিজেরাও অসংখ্য সংকেত তৈরি করতে পারে।

এরা টিভি দেখতে পছন্দ করে: এক চিড়িয়াখানায় পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন বানর প্রজাতির প্রাণীরা টিভি দেখতে খুব পছন্দ করে। টিভি দেখার সময় এদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয় এবং আনন্দ প্রকাশ করে থাকে।

যৌন জীবন: মানুষের মতো বানর প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যেও বৈচিত্রময় যৌন আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

সাঁতার জানে না এরা: প্রাণিজগতের অধিকাংশ প্রাণীই স্বাভাবিকভাবে সাঁতার কাটতে পারলেও গরিলা, শিম্পাঞ্জী, ওরাংওটাং একদমই সাঁতার জানেনা এবং সহজেই পানিতে ডুবে যায়।

এরা সৌন্দর্যও বোঝে: কিছু কিছু পুরুষ ওরাংওটাঙের শক্ত চোয়াল লম্বা হয়ে ঝুলে পড়ে। এতে এদের সৌন্দর্য বাড়ে এবং মেয়ে ওরাংওটাং এদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসব ওরাংওটাং সাধারণত দলে কর্তৃত্ব করে।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages